বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন

ছয় মাসে ১৮ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২২

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায়ে প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রবৃদ্ধিতে আশার সঞ্চার হলেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায়ে বেশ পিছিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ছয় মাস বা বছরের অর্ধেক সময় পর ঘাটতি ১৭ হাজার ৮১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার ২০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৮ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এনবিআর। ২০২০-২১ অর্থ বছরের একই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৮৩ দশমিক ২৮ শতাংশ অর্জন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ছয় মাসে রাজস্ব আহরণের প্রধান তিন খাত আয়কর, ভ্যাট ও আমদানি-রফতানি শুল্ক কোনো খাতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি, বরং রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় খাত ভ্যাট বা মূসকে সাড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে আছে ৫ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার বেশি। তবে বেশি পিছিয়ে আছে আমদানি ও রফতানি শুল্কে। এ খাতে সাড়ে ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ঘাটতি ৭ হাজার ৯৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সবচেয়ে কম ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। এ খাতে ঘাটতি প্রায় ৪ হাজার ৯১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ।

অন্যদিকে শুধু ডিসেম্বর মাসের হিসাবে তিন খাত মিলিয়ে পিছিয়ে আছে ৪ হাজার ২৮৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ২৯ হাজার ৯১৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৬৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
রাজস্ব আদায় প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি মোটামুটি সন্তোষজনক। এনবিআর থেকে যেসব সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব আদায় বহুগুণ বেড়ে যাবে। সামনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

ভ্যাট আদায়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ভ্যাট দেওয়া নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ লাখ ২৩ হাজার। এ সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। দেশে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান, কিন্তু ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আছে মাত্র সাড়ে ৩ লাখ। এজন্য কমিশনারেটগুলোকে আরও সচেতন হতে হবে। কমিশনারদের এটি নিয়ে কাজ করতে হবে। নিবন্ধন বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্যাট আহরণ বাড়াতে হবে। এটি কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। ভ্যাট দেওয়ার যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভ্যাটের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS