বন্যার কারণে সারাদেশে ১৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।
বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসএসসি-সমমান পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। তবে আপাতত সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন।
গত ১২ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এ বছর সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের আওতায় মোট পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৮ জন।
এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৪ জন, যশোরে ১ লাখ ৭০ হাজর ৩৭৭ জন, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৪৯ ৭১০ জন, বরিশালে ৯৫ হাজার ৯৭৬ জন, সিলেটে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন, দিনাজপুরে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬১ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৪৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। মোট ৭১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন। আর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ২ হাজার ৮১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী দেশের ৮২৮ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
দীপু মনি জানান, ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। তবে গত বছরের চেয়ে এবার মোট ৫৫৬টি প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। এছাড়া মোট পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আজ শুক্রবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এছাড়াও ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে নেত্রকোণাতেও। ফলে সেখানে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply