শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন

জালিয়াতির দায়ে আটক আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালকের জামিন হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৩০ মে, ২০২২

জালিয়াতির দায়ে জেলে আটক দেশের আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালকের জামিন হয়নি। রোববার (২৯ মে) রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের জামিন আবেদনের শুনানী শেষে আদালত ওই আবেদন না-মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের করা এক প্রতারণা মামলায় গত ২৩ মে থেকে জেলে আছেন আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। তারা সম্পর্কে পরস্পরের ভাই।

আমান গ্রুপের দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- আমান কটন ফাইবার্স ও আমান ফিড। গ্রেফতার হওয়া তিন ভাই-ই কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদে আছেন।

উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২৩ মে তারা রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ রোববার আবারও তারা জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও.এইচ.এম ইলিয়াছ হোসাইন শুনানী শেষ তাদের আবেদন নাকচ করেন।

জানা গেছে, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহী শাখা থেকে মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনালের নামে ঋণ নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও আমান গ্রুপের পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম। বিধি অনুসারে, এই ঋণের বিপরীতে ১১৩ শতক জমি বন্ধক রাখা হয়।

আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম ও পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ওই ঋণের জামিনদার ছিলেন। ঋণগ্রহীতা তৌফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ঋণের কিস্তি শোধ করেননি। এরই মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, অভিযুক্তরা গোপনে জালিয়াতির মাধ্যমে বন্ধকী সম্পদ অন্য জায়গায় বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন।

এ ঘটনায় যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ম্যানেজার ২০১৯ সালে শাহমখদুম থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন (সিআর মামলা নং-২৮ সি/১৯ তারিখ (শাহমুখদুম)।

ওই মামলায় আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। সম্প্রতি জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে উচ্চ আদালতের আদেশে সোমবার তাঁরা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। রাজশাহীর বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন এবং জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনালের কাছে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের প্রায় ৮৮.০০ কোটি টাকা পাওনা।

উল্লেখ, আমান গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। কোম্পানি দুটি হচ্ছে-আমান কটন ফাইবার্স ও আমান ফিড লিমিটেড। এদের মধ্যে আমান ফিড লিমিটেডও একটি খেলাপি প্রতিষ্ঠান। এবি ব্যাংকের কাছে ঋণ খেলাপি এই কোম্পানি। কোম্পানিটিকে দেওয়া ঋণের অর্থ আদায় করতে না পেরে এবি ব্যাংক আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে।

খেলাপী ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনের আওতায় কোম্পানিটির কারখানা ভবন ও জমি বিক্রি করার জন্য নিলাম ডেকেছিল এবি ব্যাংক। তবে কোম্পানিটি উচ্চ আদালত থেকে এ নিলামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আদালত কোম্পানিটিকে ওই ঋণ পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেয়। কোম্পানিটিকে কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS