
মকবুল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বধ্যভূমিগুলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সাক্ষী হিসেবে । যে বধ্যভূমিগুলোতে মুক্তিকামী বাঙালীদের হত্যা করে ফেলে রাখা হতো।
তেমনি একটি অবহেলিত অরক্ষিত বধ্যভূমি রয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন পার্কে ব্যাটবল চত্বরের নিকটে। এই বধ্যভূমিটিতে ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ নিজস্ব উদ্যোগে সংরক্ষণ কার্যক্রম করে ময়মনসিংহের গণসাংস্কৃতিক সংগঠন সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ। বধ্যভূমিটি সংরক্ষিত না থাকায় পার্কের ভাসমান দোকানদাররা ময়লা আবর্জনা ফেলে সবসময় অপরিচ্ছন্ন করে রাখে। বধ্যভূমিস্থলটি পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে চারপাশে সিমেন্টের পিলার স্থাপন করা হয়।
এই অবহেলিত অরক্ষিত বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের দাবীতে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ মহান বিজয় দিবস ২০২০ হতে সরব রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন এবং মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি করছে। কিন্তু দাপ্তরিক দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আজও এই অরক্ষিত বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ পরিলক্ষিত হয়নি। বর্তমানে প্রস্তাবিত প্রাক্কলনসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। অরক্ষিত অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে ছোট স্মৃতিস্তম্ভটিতে বর্তমানে ময়লা আবর্জনা দৃশ্যমান থাকে।
এ ব্যাপারে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এই অবহেলিত বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন সরব রয়েছি। বিভিন্ন কর্মসূচী পালনসহ দফতরে দফতরে ছুটাছুটি করেছি। প্রাক্কলনসহ নথিপত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান না হওয়ায় আমরা এবার নিজস্ব উদ্যোগে সাধ্যমত সংরক্ষণের চেষ্টা করছি। সিমেন্টের পিলার স্থাপন করেছি। একে দৃষ্টিনন্দনভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আরো কিছু কাজ করা হবে, যা এবারের বিজয় দিবসের আগেই সমাপ্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, এই সংরক্ষণ কাজে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ময়মনসিংহ জেলা শাখা আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের পাশে রয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply