রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
রবি আজিয়াটা সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিবিআই এর তদন্তে বাদীই পিতার হত্যাকারী, চুরির নাটক, স্বীকারোক্তি ও আলামত উদ্ধার চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ নুর আলম ক্লোজড আইএফআইসি ব্যাংকে “পরিবর্তনের পরিক্রমায় এক বছর” শীর্ষক টাউন হল সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন করার মত সক্ষমতা এখনো অর্জন করতে পারেনি : জাতীয় সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ২৪তম টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন্স ২০২৫ এর পর্দা নামলো জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহার ইসলাম নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ সুশীলা কার্কির ইসরাইলের হামলায় গাজায় আরও ৫০ জন নিহত

চট্টগ্রামে কাগজের আড়ালে আনা ২৬ টন সিগারেট পেপার জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম বন্দরে ধরা পড়লো আমদানি জালিয়াতির নতুন কৌশল। সম্প্রতি পেপার রিবন ও স্ট্র পেপারের ঘোষণার আড়ালে অখ্যাত দুই প্রতিষ্ঠান এনেছে ২৬ টন সিগারেট পেপার। অবৈধ এই আমদানির মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকার শুল্ক-কর ফাঁকির চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠান দু’টি।

বৈধ প্রক্রিয়ায় এই কাঁচামালের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বাজারে আসলে সেখান থেকে অন্তত ৪ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট আদায় সম্ভব হতো বলে মনে করেছেন ভ্যাট কর্মকর্তারা। প্রতিবছর বিভিন্ন পণ্য ও নামসর্বস্ব-অচেনা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বড় অঙ্কের শুল্ক-কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। প্রভাবশালী চক্র এর সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাভিত্তিক আরএম এন্টারপ্রাইজ গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি স্ট্র পেপারের ঘোষণা দিয়ে হংকং থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬ টনের একটি চালান নিয়ে আসে।

জুলাই মাসের শেষ দিকে স্মার্ট মুভ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান রিবন পেপারের ঘোষণা দিয়ে নিয়ে আসে প্রায় ১০ টনের একটি চালান। এ দুই চালান নিয়ে সন্দেহ হলে পণ্যের নমুনা বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, পণ্যগুলো আসলে সিগারেট পেপার।

 কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, পণ্য পরীক্ষায় মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি উদঘাটিত হওয়ার পরও আমদানিকারকেরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ করে চালানগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চালান দু’টি ছেড়ে দিলে সরকারের বড় অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হতো। আরএম এন্টারপ্রাইজের ১৬ টনের চালান থেকে আমদানি শুল্ক আসে প্রায় ১ কোটি টাকা। এগুলো দিয়ে সিগারেট উৎপাদন হলে ভ্যাট হারাতে হতো ৮৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে স্মার্ট মুভের চালান থেকে শুল্ক আসে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। আর সিগারেট তৈরি হলে ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়াতো ৫০ কোটি টাকা।

এদিকে, চালানের বিপরীতে আরএম এন্টারপ্রাইজ ও স্মার্ট মুভ তাদের অফিসের যে ঠিকানা দিয়েছিল, কাস্টমসের পরিদর্শনে সেই ঠিকানার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এনবিআরের নথিপত্র অনুসারে, আর এম এন্টারপ্রাইজ এর আগে আটটি চালানে ৪৮৯ টন সিগারেটের কাঁচামাল এনেছে, যার মূল্য ছিল ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জব্দ হওয়া এসব পণ্য ঘোষিত নামের আওতায় ছাড়া সম্ভব নয়। পণ্যগুলো ছাড় করা হলে সিগারেট পেপারের প্রযোজ্য শুল্ক এবং ভুয়া ঘোষণার জন্য জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট অফিসকে প্রতিষ্ঠানগুলোর আগের আমদানি ও বিক্রির হিসাব যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হবে, যাতে সরকারের পাওনা নিশ্চিত করা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS