জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, তিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করবেন। এর পাশাপাশি সংবিধানের ১৯তম সংশোধন চালু করা হবে। পার্লামেন্টকে আরো ক্ষমতা দেয়া হবে।
প্রেসিডেন্টের ঘোষণা, তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বলবেন। দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা যাতে থাকে, সেটা তিনি নিশ্চিত করবেন। জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে তিনি বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণের নিন্দা করেছেন।
গোটাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, ‘দেশ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অতীতে অনেক নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি তাদের কিছু সুপারিশ মেনে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি।’
গোটাবায়া এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নতুন সরকারে রাজাপাকসে পরিবারের কেউ থাকবেন না। মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। তার মন্ত্রিসভারও আর অস্তিত্ব নেই। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা নেই।
প্রেসিডেন্ট গত সোম ও মঙ্গলবারের সহিংসতার প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ‘সরকার সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তাই সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে বলা হয়েছে, কড়া হাতে দাঙ্গাকারীদের মোকাবিলা করতে। আমি এমন একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করব, যিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পাবেন। তিনি মানুষের মনেও আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তারপর সংবিধানের ১৯ তম সংশোধন রূপায়ণের কাজ হবে। শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট-প্রধান ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। নতুন সরকার গঠিত হোক। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুক। তারপর এই বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’
প্রেসিডেন্টের মিডিয়া শাখা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত কার্ফিউ শিথিল থাকবে। তারপর আবার কার্ফিউ জারি করা হবে। কার্ফিউ যখন থাকবে না, তখন অল্প কিছু ট্রেন ও বাস চলবে। তবে দূরপাল্লার বাস চলবে না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডেইলি মিরর
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply