মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

 বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থসম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে আপাতত নতুন করে কোনো লকার বরাদ্দ না দেওয়া এবং আগের লকারগুলো আপাতত না খোলার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। সংস্থাটির সন্দেহ, এসব লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ছাড়া অন্য কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার ফ্রিজ করতে পারে না। দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, যেন আপাতত নতুন করে কোনো লকার বরাদ্দ না দেওয়া হয়। পাশাপাশি আগের লকারগুলো যেন আপাতত খোলা না হয় সে বিষয়েও অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেফ ডিপোজিট (লকার) হিসেবে তাদের সম্পদ এ লকারে রাখতে পারেন। কর্মকর্তাদের যেসব সম্পদ বাসায় রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বা ডাকাতির ভয় আছে মূলত সেসব সম্পদই সেফ ডিপোজিট হিসেবে সিলগালা করে রাখা হয়।

এর আগে দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের সই করা এক চিঠিতে লকার ফ্রিজের অনুরোধ জানানো হয়। গত ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা এসব লকারের সম্পদ ফ্রিজের সম্মতি দেন।

দুদকের অনুসন্ধান দল সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকে তার লকার খুলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারসহ চার কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS