নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংস্কার রাষ্ট্রের একটা চলমান প্রক্রিয়া জনগণের ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাই সংস্কার করবে এইটাই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিয়ম। রাজনৈতিক দল গুলোর ব্যর্থতার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে জনগণ খুশি হয়েছ এতে জনগণের ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করবে জনগণ এটাই বিশ্বাস করে। সংস্কারের মূল জায়গা সংসদ ভবন। ১৫ বছর যাবত জনগণ ভোটের জন্য মুখিয়ে আছে । অন্তর্বর্তী সরকারেরর মূল কাজ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য কিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টা আলজাজিরাকে বলেছে নির্বাচন হতে ৪ বছর বা এর কম সময় লাগবে। এই ব্যক্তব্যের পর দেশবাসী আশাহত হয়ছে। দেশে যখন যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে সব শাসকেরাই কম বেশি ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে। আমারা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী জনগণ যাকে ভোট দিবে সে ক্ষমতায় আসবে এতে কোন অসুবিধা নেই। যে রাজনৈতিক দল গুলো অনির্বাচিত সরকারেরে কাছে সংস্কার চায় তারা রাজনৈতিক প্রতারক ও ভণ্ড। এটা রাজনৈতিক দল গুলোর দেউলিয়াপনা। রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্যই সংস্কার করা যদি সেই সংস্কার অনিবাচিত সরকারের কাছে আশা করে তাহলে সেই রাজনিতিক দল না করাই ভালো। দেশে ভোটাধিকার গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রয়জন আছে তবে সেটা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতে হবে। আমি একজন গণতন্ত্রকামী মানুষ হিসেবে দীঘ মেয়াদে অনির্বাচিত সরকার মেনে নিতে পারিনা। আজ ১৯ নভেম্বর রোজ রোজ সোমবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে হানিফ বাংলাদেশী এই সব কথা বলেন। হানিফ বাংলাদেশী আরও বলেন অন্তর্বর্তী সরকার যদি দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চায় তাহলে দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক। গণতন্ত্র আর অনির্বাচিত সরকার এক সাথে যায় না।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবত দেশে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং দুর্নীতি দুশাসনের বিরুদ্ধে ৬৪ জেলায় পরপর ৪বার প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দুনীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৪৯৫ উপজেলায় গিয়ে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দীঘ ৬ বছর আমি নিন্মে উল্লেখিত কর্মসুচি গুলো পালন করেছি। আমি নাগরিক কমিটির এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রতিবাদে ১৯ মার্চ ২০১৯ সালে আমি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ১০০৪ কিলমিটার ৩৬ দিনে পায়ে হেঁটে পদযাত্রা করেছি।
২০১৮ সানের নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করার জন্য ৪ জুলাই ২০১৯সালে নির্বাচন কমিশনকে পচা আপেল দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আমি জনগণের ভোটাধিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদে একটা আইন পাশের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংসদ ভবনের চার পাশে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে ইস্পিকার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
২০১৯ সালের ১লা সেপ্টম্বর থেকে দেশে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬৪ জেলায় গিয়ে প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দুর্নীতিবাজদের উদ্যেশে প্রতিকী লাল কাড প্রদশন করেছি।
২০২০ সালের ৫ সেপ্টম্বর সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে ঢাকা থেকে প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম ফেলানীদের বাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি।
২০২১ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে “মার্চ ফর ডেমোক্রেসি” গণতন্ত্রের জন্য ৬৭ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি।
২০২২ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিলের দাবীতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। আমার দাবির পেক্ষিতে এই বার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিল হয়েছে।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন ও ভোটাধিকারের দাবীতে ভোটের বাক্স মাথায় নিয়ে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে রাষ্ট্রপ্রতি বরবর স্মারকলিপি দিয়েছি। আমার দাবির পেক্ষিতে এই আইন পাশ হয়েছে।
২০২৩ সালে র ১লা জানুয়ারি থেকে দুর্নীতি দুরশসনের বিরুদ্ধে ৪৯৫ উপজেলা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
২০২৪ সালে সীমান্ত হত্যা ও আগ্রসন বন্ধের দাবীতে সীমান্ত লাগোয়া ৩২ জেলায় প্রতীকী লাশের মিছিল করেছি।
যুদ্ধ বন্ধের দাবীতে জাতিসংঘ বাংলাদেশের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছি।
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।
ভোটাধিকারের দাবীতে রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবনের সামনে মোমবাতি জালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
এই ছাড়াও সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকারের জন্য সব সবসময় প্রতিবাদ করি।
উল্লেখিত কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে জেলায় জেলায় লাঞ্ছিত হয়েছি কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছি।
দীর্ঘ ৬ বছর আমি উলেখিত কর্মসূচী পালন করেছি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply