প্রায় এক মাস ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়া চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকে দ্রুত নতুন এমডি নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যানরা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ অনুরোধ জানান তারা।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ এবং রূপালী ব্যাংকে চেয়ারম্যান নজরুল হুদা এই সাক্ষাতে অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাংকগুলো হচ্ছে- সোনালী, অগ্রণী, রূপালী, জনতা, বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই ছয় প্রতিষ্ঠানের এমডিদের চুক্তি বাতিল করতে চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানান, তাদের (রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের চেয়ারম্যান) পক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে দ্রুত এমডি নিয়োগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টা বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কিছুই বলেননি।
এদিকে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ছয় ব্যাংকের এমডিদের চুক্তি বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকেই ব্যাংকগুলোর এমডিরা আর অফিস করছেন না।
এসব ব্যাংকের এমডি হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ডিএমডিদের কেউ কেউ। অন্যদিকে, সরকারি ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা নতুন করে সাজিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
সরকারি ব্যাংকের মধ্যে নাজুক অবস্থায় রয়েছে বেসিক ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক। বেসিক ব্যাংকের ৬৫ শতাংশ ঋণ এরই মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে, যার পরিমাণ ৮ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।
গত জুনে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক শতাংশ বা ৪৮ হাজার কোটি টাকায়। এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ ছাড়িয়েছে খেলাপি ঋণ। ব্যাংকটিতে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা, এস আলম গ্রুপের ঋণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকে গত জুনে শেষে খেলাপি ঋণের হার ৩০ শতাংশ বা ২১ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংকের মোট ঋণের প্রায় ১৫ শতাংশ খেলাপি, যা আগে হলমার্কসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নামে গেছে। বর্তমানে খেলাপির ঝুঁকি কমেছে সোনালীর। আর রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২৩ শতাংশ বা ১০ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply