পুঁজিবাজারকে ‘নেগেটিভ ইক্যুইটি (Negative Equity) বা ঋণাত্মক মূলধনের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ নেগেটিভ ইক্যুইটি শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, বিএসইসি জানিয়েছে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার বাধ্যবাধকতা স্থগিত রাখার মেয়াদ চলতি বছরের পর আর বাড়ানো হবে না। সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরে এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
বিএসইসির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে তারা নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ শূন্যে নামাবে-সে কর্মপরিকল্পনাও বিএসইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিএসইসি থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১৬টি ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে মোট ৮ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার নেগেটিভ ইক্যুইটি রয়েছে। আর এর ৮৬ শতাংশ রয়েছে মাত্র ২৭ প্রতিষ্ঠানের কাছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫ টি ব্রোকারহাউজ ও ১২টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। এদের মোট নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply