বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পুনঃতফসিল করা ঋণ আদায়ের উপর আরোপিত সুদ আয় হিসাবে দেখানোর সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংকগুলো পুনঃতফসিল করা ঋণ আদায় না করেই আরোপিত সুদ আয় হিসাবে দেখাচ্ছে।
আর্থিক প্রতিবেদন কাগজে-কলমে ভালো দেখাতে একদিকে ব্যাংকগুলো নির্দেশনার লঙ্ঘন করছে, অন্যদিকে মূলধন ভিত্তিও দুর্বল করছে।
তাই পুনঃতফসিল করা ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ আদায় না করে কোনভাবেই ব্যাংকের আয় খাতে দেখানো যাবে না বলে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এই সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী পুনঃতফসিল করা ঋণের যে পরিমাণ অর্থ আদায় হবে ওই টাকার নির্ধারিত সুদ ব্যাংক তার আয় খাতে দেখাতে পারবে।
কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন কাগজে-কলমে ভালো দেখাতে পুনঃতফসিল করা ঋণের অর্থ আদায় না করেই সুদ আয় খাতে দেখাচ্ছে।
ফলে প্রকৃত অবস্থা অপেক্ষা ব্যাংকের আয় বেশি দেখানো হচ্ছে এবং ব্যাংকের মূলধন ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে।
এই ধরনের কার্যক্রম নির্দেশনার লঙ্ঘন এবং ব্যাংকিং খাতে সার্বিক ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তাই পুনঃতফসিল করা ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ প্রকৃত আদায় ছাড়া কোনভাবেই ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না বলে ফের সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো আর্থিক অবস্থার প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন নিশ্চিতকরণ, মূলধন সুসংহতকরণ এবং ব্যাংকিং খাতে সার্বিক ঋণ শৃঙ্খলার স্বার্থে পুনঃতফসিলকরা ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ প্রকৃত আদায় ছাড়া কোনভাবেই ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বল সার্কুলারে উল্লেখ করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply