সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ১৬টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩
  • ২২৯ Time View

ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় ইতালির ১৬টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

রেড অ্যালার্টের আওতাভুক্ত এলাকায় সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে রোদের মধ্যে না বেরুতে, সূর্যের আলো এড়িয়ে চলতে এবং বয়স্ক বা দুর্বলদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আগামী কয়েকদিনের জন্য ইতালির রাজধানী রোম, ফ্লোরেন্স এবং বোলোগনাসহ পর্যটন হটস্পটগুলোতে এ সতর্কতা প্রযোজ্য হবে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে, অতিরিক্ত গরমের কারণে উত্তর ইতালিতে চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি মারা যান।

এছাড়া সার্বেরাস হিট ওয়েভ নামে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন পর্যটক।

ইতালির আবহাওয়া সংস্থা এই হিটস্ট্রোককে দান্তের ইনফার্নোতে থাকা তিন মাথাওয়ালা দানবের নামানুসারে নামকরণ করেছে।

পরিস্থিতি আরও চরমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাটি বলছে, আগামী সপ্তাহে আরেকটি তাপপ্রবাহের মধ্যে পড়বে ইউরোপ। এতে ইউরোপে এখন পর্যন্ত উষ্ণতম তাপমাত্রা ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

২০২১ সালের আগস্টে সিসিলিতে তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ডটি হয়।

এমন পরিস্থিতি ঘটলে সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে।

শুধু ইতালিই নয়; তাপপ্রবাহে নাকাল অবস্থা গ্রিস, জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো দেশগুলো।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) তার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে স্থল এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করছে।

ইএসএ বলছে, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং পোল্যান্ডে চরম পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।

এদের মধ্যে গ্রিসের পরিস্থিতি একটু বেশি খারাপ। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে গ্রিসের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি রয়েছে৷

শুক্রবার দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ অ্যাক্রোপলিস দর্শনার্থীদের  সুরক্ষার জন্য বন্ধ ছিল।

এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে দেশটিতে যে কোনো সময় দাবানল ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

-বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS