নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অদ্য ১৫ জুলাই ২০২৩, শনিবার, বিকাল ০৩ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম অডিটোরিয়ামে, আনজুমানে মুহিব্বীনে আহলে বায়াত (আ.) সংগঠনের আয়োজনে গাদিরে খুমে মাওলাইয়্যাতের শোকরিয়া দিবস উদযাপনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, সালাত ও সালাম মাহফিল এবং পাক পাঞ্জাতনের স্মারক সম্মাননা অনুষ্ঠান এবং মাওলা ইমাম হাসান (আ:)-এর খেলাফত ও শাহাদাত শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মহাসমরোহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আনজুমানে মুহিব্বীনে আহলে বায়াত (আ:) সংগঠনের সমন্বয়ক মাওলানা আনিসুর রহমান জাফরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জনাব লায়ন মোঃ গণি মিয়া বাবুল, কেন্দ্রীয় সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ১.আলহাজ জয়নাল আবেদীন মাঝি সাজলী, ভাইস-চেয়ারম্যান, সুফিবাদ সার্বজনীন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও প্রধান খলিফা, সাজুলিয়া দরবার শরীফ, লক্ষীপুর। ঈদে গাদিরে খুম তথা মাওলাইয়াতের অভিষেক বিষয়ক সেমিনারের প্রধান আলোচক ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, ও ধর্ম-বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান, এবং সাবেক গভর্নর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয়- আল্লামা খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। বিশেষ আলোচক ছিলেন- শাহ সুফি আল্লামা তৌহিদুল ইসলাম চিশতী নেজামী, চেয়ারম্যান, সুফিবাদ সার্বজনীন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ,শাহ সুফি শামসুজ্জামান চৌধুরী (সজিব), গদিনশীন পীর, জয়পাড়া পাক দরবার শরীফ, দোহার, ঢাকা। ঈদে গাদিরে খুম তথা মাওলার অভিষেক দিবসের মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন- সুফি দার্শনিক মোশতাক আহমাদ।

আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেছেন- শাহসুফি মাওলানা মুহিউদ্দীন চিশতী নেজামী, বি-পাড়া চিস্তিয়া নেজামীয়া দরবার শরীফ, হাজি ইব্রাহীম খলিল প্রধান, মস্তান আকবর হোসাইন কাদরী, হাফিজুল আবেদীন রাসেল, রাশিদুল ইসলাম (রাসেল) মুজাদ্দেদী, কবি জসিম উদ্দীন ওয়ায়েসী, ইউসুফ রহমান কাদরী, ক্বারী ওবায়দুল্লাহ কাদরী, জহিরুল হক চিশতী, ফরিদ হাউদসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন দরবারের পীর ও সুফি সাধক এবং আহলে বাইত প্রেমিকগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র ঈদে গাদিরে খুম তথা মাওলাইয়্যাতের অভিষেক দিবস জাতীয় ভাবে উদযাপনের জোড়ালো দাবি এবং আহলে বায়াতের মর্যাদা ও গুরুত্ব, দেশের শিক্ষা পাঠ্যক্রমে সিলেবাস এর অন্তর্ভূক্তকরণের লক্ষ্যে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন-“ঈদে গাদীর বা গাদীরের অভিষেক পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো আহলে বাইতের শান মান তুলে ধরে নবীজি সাল্লামাহুর বর্ণিত “তারাকতু ফী কুম সাক্বালাইন ফা ইন তামাসসাকতুম লান তাদ্বিল্লু কিতাবাল্লাহি ওয়া ঈতরাতি, মান কুনতু মাওলাহু ফা হাজা আলীউন মাওলাহু”
(আমি তোমাদের নিকট দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বস্তু রেখে যাচ্ছি আল্লাহর কিতাব এবং আমার আহলে বাইত বা নিকটজন তাদের অনুসরণ করলে গোমরাহ হবে না (এই কথা বলে আলী ইবনে আলীর হাত উঁচু করে ধরে বলেন) আমি যার মাওলা (অভিভাবক) এই আলীও তার মাওলা তথা অভিভাবক। এই ঘটনা অস্বীকার করার জ্যো ইসলামে নেই। হজ্বের পর মদীনামুখী সকল সাহাবীরা এই ঘটনার সাক্ষ্য। প্রতিটি দরবার খানকাহগুলোতে মাওলাইয়াত নিয়ে আলোচনা দরকার। তা নিয়ে আলোচনা হলে ঈদে গাদীর বা গাদীরে খুমের অভিষেক আসবেই। “আলী আলী হক আলী, আলী ছাড়া সব খালী।”


Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply