শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

অবশেষে জামিন পেলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৯৫ Time View

রাজধানীর রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা প্র‍থম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ এপ্রিল) অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন। পুলিশ মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত শামস জামিনে থাকবেন।

এদিন জামিন চেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন শুনানিতে বলেন, সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ফুল বিক্রেতা এমন ১২ থেকে ১৩ জনের বক্তব্য আর এক দিনমজুরের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ মামলার অভিযোগ কোনোভাবেই সত্য না। হয়রানির উদ্দেশ্যেই মামলাটি করা হয়েছে। মামলা না করে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দেওয়া যেতে পারতো। কারাগারে আটক শামসুজ্জামানের জামিন প্রার্থনা করছি।

জামিনের বিরোধিতা করে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের উদ্দেশ্যে এসব (খবর প্রকাশ) কাজ করছে। এ মামলার বিষয়বস্তু অনুযায়ী আসামি অপরাধ করেছে। এ মামলায় আসামির জামিনের বিরোধিতা করছি।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও ও রমনা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানার মামলায় শামসুজ্জামানকে গত ৩০ মার্চ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ডে একজন দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। কিন্তু সেই উদ্ধৃতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় একটি শিশুর ছবি। দিনমজুরের উদ্ধৃতির সঙ্গে শিশুর ছবি প্রকাশের অসংগতির বিষয়টি তুলে ধরে ১৭ মিনিটের মধ্যেই ফটোকার্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করে সংশোধনী দেয় প্রথম আলো। এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ২৯ মার্চ অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক বাদি হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS