মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত কর্মি আমাদের যে দেশে (দশ লক্ষ) রোহিঙ্গাদের ঠাই হয় সেখানে এ দেশের জনগণ না খেয়ে আছে এই রকম কিছু দুর্নীতিবাজদের কারনে। রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স) এর রাজস্বখাতে কর্মরত কর্মচারীগণ আজ এখানে আপনাদের সামনে চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবি নিয়ে দাড়িয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে (বাপেক্স) কর্মদক্ষতা ও সততার সাথে সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পদে দীর্ঘদিন (৫ থেকে ৩০ বছর) যাবৎ কর্মরত আছি। আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দক্ষ জনবলে পরিণত হয়েছি।

বাপেক্স সৃষ্টির পর থেকে দেশের জ্বালানির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে । বিধি মোতাবেক স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী যাদের ৫৭/৫৯ বৎসর চাকুরীর মেয়াদ পূরণের কারণে অবসর গ্রহণ ও মৃত্যু বরণ করেণ, তারই প্রেক্ষিতে দক্ষ জন বলের প্রয়োজনে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তা পূরণের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১৪ (চৌদ্দ) বার কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলেও ২০০১ সাল হতে অদ্যবধি কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয় নাই বরং ১৫(পনের) তম বারের মত কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে যা কর্মচারীদের বৈষম্য সৃষ্টি করছে।

কর্মচারী স্থায়ীকরণের জন্য বাপেক্স সিবিএ (বাপেক্স কর্মচারী শ্রমিকলীগ রেজিঃ নং-বি-২০১৬) এর ঊর্ধ্বতন বার বার মৌখিক ও লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট কর্মচারী স্থায়ীকরণ আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কিছু সংখ্যক অস্থায়ী কর্মচারী মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে তাদের চাকুরী নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে রিট পিটিশন দাখিল করে তৎপ্রেক্ষিতে বিগত কয়েক বছর থেকে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে ধাপে ধাপে রাজস্ব খাতে নিয়োজিত অস্থায়ী কর্মচারী থেকে ৩৪টি মামলার রিট পিটিশনে মোট ৪৭৫ জনের মধ্যে ১২৪ জন কর্মচারীকে চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয় । তাছাড়া আমাদের ব্যাপারেও মহামান্য হাইকোর্টের রায় চলমান রয়েছে । এতদপ্রেক্ষিতে আমরাও ধারাবাহিকভাবে স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার অধিকার রাখি।

উল্লেখ্য যে, অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে যে পরিমাণ দৈনিক মজুরী প্রদান করা হয় তা দিয়ে আমাদের সংসার চালানো, ভরণ-পোষণ, চিকিৎসা ব্যয় ও সন্তানদের পড়ালেখাসহ অন্যান্য বিষয়াবলির খরচ মেটানো একেবারে অসম্ভব । আরো উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন ফিল্ডে কর্মরত কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্র পরিচালনার সময় তাদের (আঙুল, হাত-পা, দাত ও পেটসহ আরও অন্যান্য) শারীরিক অঙ্গহানি পর্যন্ত হয়েছে (নামের তালিকা ও ছবি সংযুক্ত)। কিন্তু অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা ও সহমর্মিতামূলক কিছু পাওয়া যায়নি, যেখানে একজন অফিসার তার ফ্যামিলিসহ সর্বধরণের চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি নির্দিষ্ট (হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) এর মাধ্যমে কোম্পানী কিছুটা বহন করে । যদিও শারীরিক অঙ্গহানির ঘটনা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ঘটেনা কারণ ঝুঁকিপূর্ণ ৯৫% কাজ আমরা রাজস্ব খাতে নিয়োজিত অস্থায়ী কর্মচারীরাই করে থাকি, এই আশায় আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হবে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে দ্বৈত নীতি যা অত্যান্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।

বাস্তবতা এই যে, মানবতার মা (মাদার অব হিউম্যানিটি), কওমি জননী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে উন্নয়নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা নিয়মিত রক্ত, ঘাম ঝরিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমরা আমাদের পরিবার বর্গ নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি । তার উপর আমাদের মা, বাবা ও সন্তনাদি রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করার মত অর্থ আমাদের পকেটে থাকে না। জীবনযাত্রার মানের উপর পারিশ্রমিকের পরিমাণ নির্ভর করে। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের আওতাধীন (দেশীয় একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক মানের কারিগরী ড্রিলিং ও প্রোডাকশন কোম্পানী) হওয়া সত্ত্বেও সমাজতন্ত্র অনুযায়ী ও দেশে অবস্থানরত সমসাময়িক বিদেশী কোম্পানীর তুলনায় আমাদের পারিশ্রমিক নিম্নমুখী।

শ্রম আইন অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত কর্মচারীরা অতিরিক্ত ভাতা প্রাপ্ত হবেন কিন্তু তবুও আমরা কোন প্রকার ভাতা বাপেক্স থেকে প্রাপ্ত হচ্ছিনা তাই জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী পারিশ্রমিক হার নির্ধারণ করা উচিত। তাছাড়া বর্তমান পদ মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রতিটি কাজের আপেক্ষিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তাই বিভিন্ন পদের মূল্য বা অবদান তুলনামূলক ভাবে বিশ্লেষণ করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে বাপেক্সের ৩জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সকল অস্থায়ী কর্মচারীদের কনফরেন্স রুমে ডেকে নিয়ে মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আর কোন অস্থায়ী কর্মচারীকে কোন প্রকার স্থায়ী নিয়োগ দিবে না। যা অমানবিক, অগ্রহণযোগ্য, বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক ধর্ম আইনের পরিপন্থী ও অসাংবিধানিক। বাপের কর্তৃপক্ষ আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে আমাদের পদে কর্মচারী নিয়োগ দিচ্ছে এবং আমাদেরকে রাজস্ব খাত হতে আউট সোর্সিং এ স্থানস্তরের করবে বলে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে।

বিশেষভাবে উল্ল্যেখ্য যে, আমাদেরকে নাগেন্স কর্তৃপক্ষ গত জানুয়ারি ২০২৩ থেকে স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে আগমনে নিষেধ প্রদান করে। অথচ মামলা চলমান অবস্থায় সাংগঠনিক কাঠামোতে আমাদের কর্মরত স্থায়ী অন্যপদগুলোকে আউটসোসর্সিং পদে স্থানান্তর করে। এই ষড়যন্ত্রে বর্তমানে ৩ জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন; ক) মোহাম্মদ আলী, ব্যবস্থপনা পরিচালক (চুক্তিভিত্তিক) খ) মোহাম্মদ আবুল বশর, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও গ) মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দার, উপ-মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) (প্রমাণ সংযুক্ত)। মহামান্য হাইকোর্টের চলমান অমিমাংসিত বিষয়ে এককভাবে নিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ ‘ল’ আইনের পরিপন্থী। উল্লেখ্য যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকারের ফলে বাপেক্স-কে আন্তর্জাতিক মানসম্মত যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো প্রণয়নে নির্দেশ প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আতিকুজ্জামান সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সাংগঠনিক কাঠামো প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান IIFC সহিত চুক্তিবদ্ধ হয়। ২৪-১০-২০১৬ তারিখে জনাব মোঃ আতিকুজ্জামান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় মাসিক সমন্বয় সভায় জোর উল্লেখ্য করেন যে, আউটসোর্সিং পদ অগ্রানোগ্রাম এর চেয়ে বেশি না হয়।

অতঃপর ০৩ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: নওশাদ আলী, জনাব একেএম রুহুল আমিন চৌধুরী, জনাব মীর আব্দুল হান্নান ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী হওয়ার উদ্দেশ্যে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে মামলা চলামান থাকায় সাংগঠনিক কাঠামো প্রণয়ন করেন নাই এবং মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় IIFC দীর্ঘদিন যাচাই-বাছাই করতঃ মামলা চাকরি প্রত্যাশিদের পথ ব্যাতি রেখে একটি যুগোপযোগী সাংগঠনিক প্রস্তাব করেন যেমন: স্থায়ী পদ ৭৪৪টি ও আউটসোসিং পদ ২৫০টি প্রস্তাব করলে তা বাপেক্সের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাগণ ব্যক্তি স্বার্থে প্রত্যাখান করে। গত ২৯/১০/২০২০ ইং তারিখে পরিচালনা পর্ষদ বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হলে সেখানে খসড়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক উঠে । একাধিক বোর্ড সদস্য একে ত্রুটিপূর্ণ বলে মতামত দিলে বোর্ড সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান (সচিব, জ্বালানি মন্ত্রণালয়)। তিনি বাপেক্সকে আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি করার তাগিদ দিয়ো সেভাবে সাংগঠনিক কাঠামো রিভিউ করার তাগিদ দেন। যদিও সরকারী নির্দেশক্রমে সাংগঠনিক কাঠামো সংকচিত হতো তাহলে কর্মকর্তা ও কর্মচারী উভয় সংকুচিত হতো।

কিন্তু বিগত ১৩/০৭/২০২১ ইং তারিখে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার সহযোগীরা আউটসোসিং বাণিজ্যের লক্ষ্যে স্থায়ী পদগুলোকে আউটসোর্সিং পদে স্থানান্তর করেন । বর্তমানে অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী হওয়ার লক্ষ্যে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট-এ ৪৭৫ জনের ৩৪টি মামলা চলমান থাকা স্বত্ত্বেও বাপেক্স এর পরিচালক পর্ষদকে মামলা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাংগঠনিক কাঠামোকে স্থায়ী পদকে আউটসোর্সিং করেন যা আইন বিরোধী।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এই ধরনের অমানবিক গণবিধ্বংসি কর্মকান্ডের মর্মাহত হয়ে আমরা আমাদের আইনজীবী সহায়তায় বিভিন্ন রীট পিটিশনের সাংগঠনিক কাঠামো ২০২১ এর বিরুদ্ধে ২৫/০৮/ 2021 ইং তারিখে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন ৬৪৮২/২০২১ দাখিল করলে মহামান্য বিচারপতি জনাব মামনুন রহমান ও মহামান্য বিচারপতি জনাব খন্দকার দিলিরুজ্জামান সমন্বয়ে দ্বৈত বেঞ্চে আমাদের আইনজীবি ব্যারিটার জনাব এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান উল্লেখিত মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে ৩৪টি মামলা চলমান অবস্থায় সাংগঠনিক কাঠামো স্থানী পদগুলোকে আউটসোসিং করার শুনানী আন্তে মহামান্য আদালত (১) সচিব (জ্বালানী) (২) চেয়ারম্যান (পেট্রোবাংলা) (৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বাপেক্স) (৪) মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন (বাপেক্স) সহ ছয়জনকে কেন সাংগঠনিক কাঠামো কেন স্থায়ী পদকে আউটসোসিং করা হলো সে মর্মে দুই সপ্তাহের মধ্যে মহামান্য আদালতকে জবাবের নির্দেশ করলেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অদ্যবধি মহামান্য আদালতকে জবাব প্রদান করেনি যা আদালত অবমাননার শামিল। আমাদের চাকরীর নূন্যতম নিশ্চয়তা এখন বাপেক্সে নেই।

শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন অস্থায়ী শ্রমিককে কেরানীসংক্রান্ত (অফিস সহকারী) কাজে নিযুক্ত এমনদের জন্য ৬মাস এবং অন্যান্যদের (টেকনিক্যাল) ক্ষেত্রে ৩ মাস হয়ে থাকে । সেখানে আমরা স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পদে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত আছি। অথচ বাপেক্স একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন KPI ‘ক’ এর অন্তর্ভুক্ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানী এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এ নিয়োগ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি। কারণ কারিগরি প্রতিষ্ঠানে সুদক্ষ জনবল ও নিঃচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যতিত চলতে পারে না । এখানে আরও উল্লেখ্য যে, আউট সোর্সিং কোম্পানি দ্বারা দক্ষ জনবল ও নিরাপত্তার কোনোটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় । তাছাড়া টেকনিক্যাল পোস্টসমূহ আউটসোর্সিং এ নিয়োগ দেয়া হলে কাজের মান ও দক্ষতা বিলুপ্ত হবে। কারণ আউটসোর্সিং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জনবল নিয়োগ দুই বছর অন্তর অন্তর পরিবর্তন হয় ।

রাজস্ব খাতের কর্মচারীদের ২০২২-২০২৩ সালের বাজেট থাকা সত্ত্বেও ০১ জানুয়ারি-২০২৩ তারিখ থেকে বেতন বন্ধ করে দিয়ে আউটসোর্সিং কোম্পানি “মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স লিমিটেড” এর মাধ্যমে বাপেক্সের রাজস্ব খাতের অস্থায়ী কর্মচারীদেরকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও উপ-মহাব্যবস্থাপক সংস্থাপন চাপ প্রয়োগ করছেন। অস্থায়ী কর্মচারীগণ বাপেক্স বিরোধী /পরিপন্থী কোন কাজে যুক্ত নেই বরং তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ২৮-১২-২০২২ তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ ০১-০১-২০২৩ তারিখে প্রথমবার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিবাদ এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় । দাবি পুরন না হওয়ায় ০৩-০১-২০২৩ তারিখে মানবতার মা (মাদার অব হিউম্যানিটি), কওমি জননী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর বিষয়টি পত্র মাফিক অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে ০৮-০১-২০২৩ তারিখে প্রধান কার্যালয়, ঢালার বৃহৎ আকারে শুণ্য পদের বিপরীতে রাজস্ব খাতে নিয়োজিত সকল অস্থায়ী কর্মচারীবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। যা বহুল প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ও অন্যান্য গণমাধ্যমেও এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাপেক্সের প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, গ্যাসক্ষেত্র, স্থাপনা ও ড্রিলিং ফিল্ডসহ সকল স্থরে পত্র মাফিক স্ব-স্ব উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবগত করিয়া শাস্তিপূর্ণ ৬দফা গণআন্দলন চলমান রহিয়াছে এবং এই আন্দোলনের সাথে (বাংলাদেশ তৈল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ সংস্থা শ্রমিক কর্মচারীলীগ ফেডারেশন, রেজিঃ নং-বি-২১৫৭ ও বাপেক্স কর্মচারী শ্রমিক লীগ,রেজিঃ নং-বি-২০১৬) একাত্বতা প্রকাশ করিয়া ১৭-০১-২০২৩ ও ২৩-০১-২০২৩ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি প্রদান করেন। এ শাস্তিপূর্ণ আন্দলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ভাড়াকৃত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাদের আন্দলন বানচাল করার জন্য হুমকি প্রদান করে । কিছু কর্মকর্তার ব্যবহার এতই নিকৃষ্ট যে, বাপেক্সের হিসাব ও অর্থ বিভাগের উপব্যবস্থাপক, মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম (পে, বিল এন্ড স্টোর) আদলনরত কর্মচারীদের গায়েহাত দেওয়ার জন্য উদ্ধৃত হয় ও আন্দোলন কিভাবে সফল হয় তা দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন হায়দার, সংস্থাপন উপ-বিভাগ, বাপের কার্যালয়ে অবস্থিত মসজিদের ঈমামকে নামাজরত অবস্থায় মসজিদ থেকে বেরকরে দেন, ২৫-০১-২০২৩ ডিজিএম (সংস্থাপন) এর নেত্রীত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে আমাদের আন্দলন বন্ধ করার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়েছেন ও ২৬-০১-২০২৩ তারিখ বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, মানবতার মা (মাদার অব হিউম্যানিটি), কওমি জননী, শ্রমবান্ধব, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ও মাননীয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের সম্মানিত ব্যক্তিদয়গনের ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার দুঃসাহস পর্যন্ত করিয়াছে। যা বাংলাদেশ সংবিধনের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে জাতির পিতার ছবি সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের কথা আছে, সেটা অবমাননা করা যাবেনা ।

৭ (ক) অনুচ্ছেদে আছে কেউ যদি সংবিধানের কোন অংশ বাঅনুচ্ছেদ অসম্মান করার চেষ্টা করে রাষ্ট্রদ্রোহ সে অভিযুক্ত হবে। (যার ভিডিও সংরক্ষণ আছে এই অবমাননার প্রবাদে শূন্য পদের বিপরীতে রাজস্ব খাতে নিয়োগপ্রাপ্ত আন্দোলনরত কর্মচারীগন বিচারের দাবিতে বাপেক্সের প্রধানকার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, গ্যাসক্ষেত্র, স্থাপনা ও ড্রিলিং ফিল্ডসহ সকল স্থরের কর্মচারীগন ৩০/০১/২০২৩ তারিখ বাপেক্স ভবন ঢাকায় অবস্থান গ্রহণ করেগণ আন্দোলন শুরুকরলে (গণ মাধ্যমেও এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে) চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলা জনেন্দ্র নাথ সরকার, মহোদয় দাবি ও বিচারের দিলে কর্মচারীগণ আন্দোলন স্থগিত করিয়া স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদান করেন।

কিন্তু মোহাম্মদ আলী, ব্যবস্থপনা পরিচালক (চুক্তিভিত্তিক) ব্যবহার এতই নিহৃদয়, নিকৃষ্ট ও জালেম যে প্রতিহিংসা বোধক নির্দেশেক্রমে (১ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত) বেতন কর্তন করিয়াছে । এই অবস্থায় বাপেক্স বিশেষায়িত (KPI-ক) অন্তর্ভূক্ত প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার অশান্তি, বিশৃংখলা ও ক্ষয়ক্ষতি হলে বাপেক্স প্রশাসনকে দায়ভার বহন করতে হবে। কারণ মোহাম্মদ আলী, ব্যবস্থপনা পরিচালক (চুক্তি ভিত্তিক) আচরণে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, দেশীয় একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে ধ্বংস করিয়া অদৃশ্য বিদেশী কোন গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরীচ্যুত কর্মচারীগণ চাকুরী হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কোম্পানীর কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রাপ্ত জ্বালানী খাতকে উন্নয়নের জন্য জরুরী ভিত্তিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিত করা প্রয়োজন ।

অতএব, আপনাদের সময় সুদৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক আমাদেরকে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী কর্মচারী পদে নিয়োগ প্রদানে বর্ধিত করলে আমরা অতি মানবেতর জীবন-যাপন থেকে মুক্তি পেতে পারি। উল্লেখ্য যে, বাপের পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো-২০১১ অনুযায়ী ৬৫৬ জন কর্মকর্তা ও ১২১০ জন কর্মচারীসহ সর্বমোট ১৮৬৬ জন (২৯৩ জন আউটসোর্সিংসহ) জনবলের সংস্থান আছে । মানববেতর জীবন থেকে মুক্তি পেলে আমরা আমাদের মা-বাবা, আমাদের সন্তান (ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশু) সহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS