সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসছে ৩০ হাজার কোটি টাকা লোহাগড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় জালিয়াতি: বিএনপি সভাপতিসহ তিন নেতার পরীক্ষা বাতিল প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতা আবুল হাসানের মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪৯তম সভা অনুষ্ঠিত মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘বীকন’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নাজরাতান নাঈম রাতুল বাঁচতে চায় নতুন ঠিকানায় ন্যাশনাল ব্যাংকের বেনাপোল শাখা বিজিআইসি’র মুখ্যনির্বাহী কর্মকর্তার পুনর্নিয়োগ এমটিও দের জন্য ’ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স’ এর আয়োজন করেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক দর বৃদ্ধির শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

তথ্যমন্ত্রী: পাকিস্তানের আদলে স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, তখন বাংলাদেশ আকার অনুযায়ী পৃথিবীর ৬০তম অর্থনীতির দেশ। সেখান থেকে ১৪ বছরে আমরা জিডিপিতে ৩৫তম এবং পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। আগামী কয়েকবছর পর বাংলাদেশের ক্রম আরও ওপরে উঠবে। বাংলাদেশ ইকোনোমিকালি ইমার্জিং টাইগার, সেজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। ওনারা পাকিস্তানকে কেন এতো অনুকরণ করেন সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউকে কন্টিনেন্টাল ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ সব সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও ঠিক সেভাবে হবে। চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। পাকিস্তানের আদলে স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব একজন শিক্ষিত মানুষ। তিনি মূর্খের মতো বারবার সরকারের অধীনে নির্বাচন কেন বলেন, সেটিই হচ্ছে আমার প্রশ্ন। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকার তখন শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনকালীন সময়ে যে সরকার দায়িত্বে থাকে তাদের পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলি করারও ক্ষমতা থাকে না। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেমন একটি পক্ষ, বিএনপিও একটি পক্ষ। আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।

তিনি আরও বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু সরকারি দলের নয়। এক্ষেত্রে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে সহযোগিতা করা। কেউ যদি নির্বাচন বর্জন করে কিংবা প্রতিহতের অপচেষ্টা চালায় তাহলে এসবের দায়-দায়িত্ব তাদের।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি যাবে কী যাবে না সে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থেকে নির্বাচনে গেছে। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। সুতরাং ওই নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে এর দায়-দায়িত্ব বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের। তারা ৫০০ নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ অনেক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।

তিনি বলেন, আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক। গত বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে নানা বিষয়ের মধ্যে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা চাই দেশে আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশিদের আনাগোনা সবসময় ছিল। তাদের আনাগোনা বেশি হওয়া ভালো। তারা বাংলাদেশের ওপর ইন্টারেস্ট ফিল করছে। বাংলাদেশ যেহেতু ইমার্জিং ইকোনমি, বিদেশিরা একটু বেশি আসবে। আমাদের বাণিজ্য বহুমুখীকরণ হবে। আমরা আমাদের পণ্য বিক্রি করতে পারব। তাদের আগ্রহ আছে বিধায় আসছে, এটি দেশের জন্য ভালো। যেই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা, বাজার বড় এবং ক্রম সম্প্রসারণমান, সেখানে অন্যান্য দেশের আগ্রহ বাড়বে— এটাই খুব স্বাভাবিক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS