চলতি বছরও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন অ্যালেইন অ্যাস্পেক্ট, জন এফ. ক্লজার এবং অ্যান্টন জেলিঙ্গার। ‘বিজড়িত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য’ ২০২২ সালে ওই তিন বিজ্ঞানীকে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশে সময় মঙ্গলবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি এই ঘোষণা দেয়। নোবেল কমিটির প্রধান থমাস পার্লম্যান টেলিফোনে এবারের নোবেল বিজয়ীদের এই সুখবর জানান। এই ঘোষণার আগে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই সব নথিপত্র অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে রেখে তা জনসাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়।
গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী শুকুরো মানাবে, জার্মানির পদার্থবিজ্ঞানী ক্লাউস হ্যাসেলম্যান ও ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী জর্জিও পারিসি। তার আগের বছরও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন ৩ জন। এরা হলেন যুক্তরাজ্যের রজার পেনরোস, জার্মানির রাইনহার্ড গেনজেল এবং যক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রেয়া ঘেজ।
প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা ও অর্থনীতি- এই ৬ বিষয়ে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের পুরস্কার প্রদান করে সুইডেনভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশন। পুরস্কার প্রদানের পর তা উদযাপনে উৎসবের আয়োজন করে নোবেল কমিটি। নোবেল কমিটির সদর দফতর নরওয়েতে।
উনবিংশ শতাব্দিতে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল আবিষ্কার করেছিলেন ডিনামাইট নামের ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক; যা তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তির মালিক করে তোলে। মৃত্যুর আগে তিনি ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনের সমান। আলফ্রেড নোবেলের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৬৮ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply