
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাওনা টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে নির্যাতনের স্কীকার হলেন এক কাপড় ব্যাবসায়ী। এ বিষয়ে বুধবার সকাল ১১টায় সময় ভৈরব নিউজ মিডিয়িা কার্যালয়ে সংবাদ সন্মেলন করেন ভোক্তভোগি সুমন সাহা।
সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী সুমন সাহা তার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান, নার্গিস আক্তার অনু ভৈরব বাজারস্থ আমার দোকানের একজন নিয়মতি ক্রেতা ছিল। দীঘদিনের ক্রেতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে আমি তার কাছে মোট ৫৬ হাজার ৪ শত টাকা পাওনা থাকি। গত ৪ বছর পূর্বে নার্গিস আক্তার অনু ভৈরব থেকে বাসা বদল করে নরসিংদী চলে যায়। আমার পাওনা টাকা আনতে আমি তার বাসায় কয়েকবার যাই। তখন সে দেব দিচ্ছি করে তালবাহানা করনতে থাকে। গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আমার দোকান বন্ধ থাকায় দুপুর বেলায় তার বাসায় যাই। দরজা নাড়তেই তার স্বামী আব্দল্লা আল মামুন ধারালো দা নিয়ে আমাকে আঘাৎ করতে আসে। আমি তখন প্রান বাচাতে দৌড়ে ওই এলাকারই একটি মাদ্রাসায় গিয়ে আশ্রয় নেই। মামুন ঐখানেও গিয়ে আমাকে তার লোকজনকে ডেকে নিয়ে পুনরায় তার বাসায় এনে হাতুরি রড ও রেঞ্জ দিয়ে আমাকে মারধর করতে থাকে আর বলে আমাকে মেরে ইটাখলায় পুড়িয়ে ফেলবে। এরপর তারা আমার মোবাইলের বিকাশ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ টাকা নিয়ে তারা আরো ৩০ হাজার টাকা চায় নয়তো আমাকে মেরে ফেলবে। তখন আমি আমার বড় ভাইকে ফোন দিলে সে তাদেরকে বিকাশে আরো৩০ হাজার টাকা দেই। এ ছাড়াও আমার মানি ব্যাগে রক্ষিত ৫ হাজার ৭ শত টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। মোবাইল নিয়ে তারা আমাকে আবারো মারধর করতে থাকে এবং আমার ফেসবুক আইডিতে এসে লাইভে তারা লাইভে যায়। তারা লাইভে গিয়ে আমাকে স্যোসাল মিডিয়াতে তাদের শেখানো কথা বলতে বাধ্য করে। নির্যাতন সইতে না পেরে আমিও তাদের শেখানো কথা বলতে বাধ্য হই। লাইভে আমাকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমার স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌছালে তারা বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করে। পরে তাদেরকে আরো নগদ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ টাকা দেওয়ার পরও তারা আমাকে আবারো মারধর করে আমার মানি ব্যগে থাকা পুবালী ব্যাংকের একটি চেক ও ৩ শত টাকার সাদা ষ্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর রেখে বলে তুই যদি আমাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থায় যাস তাহলে চেক ও ষ্ট্যাম্পে আমাদের মনমত লিখে নেব। এত কিছুর পর রাত পৌনে ১০ টার সময় তারা আমাকে ছেড়ে দিলে তখন আমি নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ভৈরবে আসি। বর্তমানে আমি এখনো ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকি’ৎসাধি আছি।

সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved