
অর্থনীতিতে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মক্ষেত্রসহ সব ক্ষেত্রে পুরুষের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে নারী। আজকের দিনের নারী মানেই অদম্য।
তবে নারীর এ অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে মনে হলেও উচ্চ পর্যায়ে অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে এখনো নারীরা পিছিয়ে আছে। পুরুষের সঙ্গে সমান তালে কর্মক্ষেত্রে নারী এখনও অবস্থান গড়ে তুলতে পারছে না। যারা কাজ করছেন, তারাও পিছিয়ে আছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ( বিএসইসি) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি।
অর্থনীতিতে নারীর অবদান নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা বিভিন্ন খাতে কর্মরত নারীদের সম্মাননা দেয়া হয়।
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, একাত্তরে নারীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আমাদের দেশের উদাহরণ এখন সারা বিশ্বে দেয়া হয়। সংসদে সরাসরি নির্বাচিতদের বাইরে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে৷
গার্মেন্টস এ ৮০ ভাগ নারী। সবক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ তেমন বাড়েনি।
তিনি বলেন, নারী অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হলে সংসারেও তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
আজকে নারীদের এই অবস্থান প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে। তৃণমুলে নারীর ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান।বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরাও এই কথা বলেছেন।
নারীর যে উন্নয়ন আমরা অর্জন করতে চাই সেটা এককভাবে সম্ভব নয়। পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক ভাবে সবাই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র শিল্পে নারীদের এগিয়ে নিতে আরো বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রতিটি দিনই নারীর দিন। নারী ছাড়া পৃথিবী চিন্তা করা যায় না। নারী দিবসের অনুষ্ঠানে নারীদের উপস্থিতি বেশি থাকে। অন্য সব খানে নারী অনেক কম।
বর্তমান সরকারের কারণে নারীর ক্ষমতায়ন দেখছি। আদালত থেকে শুরু করে সবখানে নারী আছে। কিন্তু সংখ্যায় তারা কম। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নারীর অংশগ্রহণ কম। সংসদে ২১ জন নির্বাচিত নারী আছে।
তিনি বলেন, শ্রমক্ষেত্রে নারীর অবদান ৩৬ ভাগ। ৫০ বছরে অর্থনীতির আকার যেভাবে বেড়েছে নারীর অগ্রগতি সেভাবে বাড়েনি।
তিনি বলেন, এদেশের ৫০ ভাগ নারী। আমাদের মেয়েরা পরিবারে বড় হয় ‘না না ‘ শব্দটা শুনে। নারীকে এগিয়ে নিতে পরিবারই প্রথম এবং বড় ভুমিকা রাখে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে৷ তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি আজ সবাই দেখছে। অভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক পরিস্থিতিতে নারী ও পুরুষ একই মাত্রায় যোগ্যতার পরিচয় দিতে সক্ষম। সবক্ষেত্রে নারীর সম সুযোগ ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য৷ কারণ নারী উন্নয়নই জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
স্বাগত বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতাযর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে তৈরি পোশাক খাতে নারীর অংশগ্রহণের ফলে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। এর ফলে একদিকে যেমন শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণও বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ।
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved