
বান্ধবীকে ১২ লাখ টাকার গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। এমনকি বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকার লেনদেনও করেছেন। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খবর পাওয়ার পর কোটি টাকার মালিক সেই পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার হয়ে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ।
দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ প্রায় ১ কোটি টাকার বড় একটি অংশ ট্রান্সফার করেন নিজের এক বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। প্রায় ২১ লাখ টাকা ওই বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন তিনি।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এ ছাড়া সেই বান্ধবীকে ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছেন তিনি।
সাত দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মনোজিতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত মনোজিতকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে সরকারি আইনজীবী মনোজিতের বান্ধবীর কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বান্ধবী বুলা সরকারকে উপহার হিসেবে মনোজিৎ প্রায় ১২ লাখের গাড়ি দিয়েছেন। এমনকি বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। গাড়ির ট্যাক্স ভাউচার দেখে সেই বুলা সরকারের ঠিকানায় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তারা গেলে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মনোজিৎ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা হলেও পরে রামপুরহাটে বদলি হন। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, মনোজিতের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির প্রথম খবর পায় রাজ্য ভিজিল্যান্স। তারা তদন্ত করে রাজ্য পুলিশ ডিরেক্টরেটে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই এসিবির কাছে অভিযোগ আসে এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলা রুজু হয়।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ, হাওড়া সিটি পুলিশ এবং রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন মনোজিৎ।
সরকারি আইনজীবী জানান, সেই সময় তার আয় হওয়ার কথা ছিল ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা। কিন্তু তার সম্পত্তি হয়েছে এক কোটি টাকার বেশি। এই চার বছরে তিনি যে ক’টি ফিক্সড ডিপোজ়িট করেছিলেন, তার পরিমাণ ৭৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মতে, একজন কনস্টেবল পদের পুলিশকর্মীর এত পরিমাণ সম্পত্তি হওয়ার কথা নয়। কীভাবে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক হলেন মনোজিৎ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved