
ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা দিতে ডিজিটাল ওয়ালেট ‘পকেট’ নিয়ে আসছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবিজি টেকনোলজিস লিমিটেড এ ই-ওয়ালেট পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক খুব শীঘ্রই কোম্পানিটিকে লাইসেন্স প্রদান করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কোম্পানির ব্র্যান্ড নাম হবে ‘পকেট’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ মেজবাউল হক জানান, কোম্পানিটি গত বছরের ডিসেম্বরে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) পেয়েছে। অবকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হওয়ায় শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন ২০১৪ অনুযায়ী এবিজি টেকনোলজিস লিমিটেড পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স পাবে।
কোম্পানিটি নতুন এ উদ্যোগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে প্রস্তাব করেছে।
বর্তমানে, বাজারে ছয়টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিএসপি রয়েছে — আইপে সিস্টেম লিমিটেড, ডি মানি বাংলাদেশ লিমিটেড, রিকারশন ফিনটেক লিমিটেড, গ্রিন অ্যান্ড রেড টেকনোলজিস লিমিটেড, প্রগতি সিস্টেম লিমিটেড, এবং ডিজিটাল পেমেন্টস লিমিটেড।
তবে, ই-ওয়ালেটের সুবিধা সম্পর্কে ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেশিরভাগ পিএসপি ভালো করছে না বলে জানিয়েছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
পূর্বে, অনেক কোম্পানি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স ছাড়াই ই-ওয়ালেট পরিষেবা প্রদান করেছিল। তবে ২০২০ সালের ৫ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাইসেন্সবিহীন পিএসপি এবং পিএসও কে কোনও পরিষেবা না দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ প্রদান করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রবিধান অনুযায়ী পিএসপি প্রতিষ্ঠা করতে প্রায় ২০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হিসেবে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় সংশ্লিষ্ট নথিপত্র এবং ব্যবসায়িক সনদপত্র পর্যালোচনা করার পর সন্তুষ্ট হলে এনওসি জারি করে।
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved