
সপ্তাহ পেরিয়েছে তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্পের। প্রাণহানি ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। কমে এসেছে চাপা পড়া জীবিতদের উদ্ধারের সম্ভাবনা। এ অবস্থায় উদ্ধারাভিযানের চেয়ে বেঁচে থাকা মানুষদের প্রতি বেশি নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
নিহতদের মধ্যে তুরস্কে ৩২ হাজার আর সিরিয়ায় মারা গেছে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ। কেবল সিরিয়াতেই ক্ষতিগ্রস্ত চার প্রদেশে গৃহহীন ৫৩ লাখ মানুষ। অন্যদিকে, তুরস্কে এ সংখ্যা কত তা জানা যায়নি। দেশটিতে সাময়িক আশ্রয় দেয়া গেছে ১০ লাখ মানুষকে। হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮০ হাজার। তুরস্কের ১০ এলাকায় অনেক মৃতদেহের সৎকার সম্ভব হয়নি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ ও এর বাইরের লাশ গলতে শুরু করায় দুর্গন্ধের পাশাপাশি ছড়াচ্ছে সংক্রমণও। দুর্যোগের সুযোগে লুটপাট ঠেকাতে টহল জোরদার করেছে তুরস্কের পুলিশ ও সেনাবাহিনী। স্থানীয় গ্রুপের সাথে সংঘাত ও নিরাপত্তা ঘাটতির অভিযোগে দেশে ফিরছে জার্মানি ও ইসরাইলের উদ্ধারকারী দল। সিরিয়ায় ত্রাণ তৎপরতা জোরালো করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, তুরস্কের হাতায় প্রদেশ থেকে ভূমিকম্পের ১৮২ ঘন্টা পর ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর ও ১৭৮ ঘন্টা পর ৭০ বছর বয়সী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved