
নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লেবার পার্টির এমপি ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস। বর্তমানে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিস হিপকিনস দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী। এর ফলে জেসিন্ডা আরডার্নের উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন ক্রিস। তবে এ জন্য রোববার তাকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে।
ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে তাকে কোভিড-১৯ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রিস হিপকিনস। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা, জনসেবা মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পার্লামেন্টে দলীয় নেতার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হঠাৎই পদত্যাগের ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কঠিন সময় যাচ্ছে বলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি, তা নয়। এমন হলে আমি আগেই সরে যেতাম। আমি চলে যাচ্ছি, কারণ প্রধানমন্ত্রীত্বের মতো বিশেষ ভূমিকার সঙ্গে অনেক দায়-দায়িত্ব জড়িয়ে থাকে, যা পালন করা আমার পক্ষে হয়তো আর সম্ভব নয়।
‘একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি কখন সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন ও কখন পারবেন না তা জানা উচিত। আমি মানুষ, রাজনীতিবিদরাও মানুষ। আমরা যতক্ষণ পারি, ততক্ষণ কাজ করে যেতে পারি। তবে এখন আমার সরে যাওয়ার সময় এসেছে।’
তবে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেও এখনই চেয়ারে বসতে পারছেন না হিপকিনস। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশটির গভর্নর জেনারেলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন জেসিন্ডা। এরপর রাজা তৃতীয় কিং চার্লস-এর পক্ষে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন তিনি।
সূত্রঃ বিবিসি
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved