
করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনা আর সাধারণ সর্দি কাশির উপসর্গের মিল এতটাই যে এক বেলা নাক বন্ধ থাকলেই তৈরি হচ্ছে দুশ্চিন্তা। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, কেবল করোনা নয় ঠান্ডাজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর আক্রমণের কারণে নাক বন্ধ হতে পারে।
নাক বন্ধ কেন হয়?
বহিঃ নাসারন্ধ্র ও অন্তঃ নাসারন্ধ্র যখন কোনও কারণে প্রদাহের শিকার হয় তখন সেখানকার কোষগুলো ফুলে ওঠে। ফলে নাসা পথে বায়ু চলাচল কঠিন হয়ে ওঠে। আক্রান্ত ব্যক্তির মনে হয় নাক যেন বন্ধ হয়ে আছে। পাশাপাশি জীবাণুর সংক্রমণের ফলে অনেক সময় শ্বাসনালীতে জমে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা। এগুলো নাসারন্ধ্রের ভিতরে জমা হলে বেড়ে যায় সমস্যা।
কী করণীয়
শ্বাস-প্রশ্বাসের দরুন বায়ু বাহিত নানা জীবাণু, ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস বা ধূলিকণা নাসারন্ধ্রতে জমে থাকে ফলে এটি কার্যত সংক্রমণ ছড়ানোর আদর্শস্থল। তাই প্রতিনিয়ত একে জীবাণু মুক্ত রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নাসারন্ধ্রের প্রদাহ নির্মূলের জন্য ব্যবহার করেন। অ্যান্টি হিস্টামিন, নাকের স্টেরয়েড স্প্রে বা নাকের স্যালাইন স্প্রে এগুলো বেশ কার্যকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নাসারন্ধ্র নিয়মিত সাফ করা অনেকটাই কমাতে পারে নাক বন্ধের সমস্যা। শুধু তাই নয়, এতে নাকের ভিতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও নাসারন্ধ্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে যে কোনও ধরনের ওষুধ নিয়মিত সেবন করার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved