
ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়া:রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬০একরের বেশি জমি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে বার বার আবেদন করেও মিলছেনা কোনো সুরাহা। এমনটি জানিয়েছেন কুতুপালংয়ের কৃষক আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন,"১৯৭৮ সাল থেকে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছি। পরবর্তী ২০১৭সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর ক্যাম্পের বর্জ্যে আমাদের চাষাবাদের জমি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আমার ২একরের বেশি জমিতে বিগত পাঁচবছর যাবত কোনো মৌসুমে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।
যার ফলে লাখ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে কোনো সুরাহা মিলছেনা। কিছু জমিতে বর্জ্যের কারণে কেউ ধান কাটতে যায়না।
অপর এক কৃষক মোহাম্মদ সালাম একই অভিযোগ করে বলেন,"আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নিজেরাই এখন মহাবিপদে পড়ে গেছি। মানবতার বদলে আমরা স্থানীয় বাংলাদেশিরা বারবার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি,যা স্থায়ীভাবে রূপ নিবে বলে শঙ্কায় দিনাতিপাত করছি। আমরা দ্রুত এটার সমাধান চায়।"
স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান,ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সুষ্ঠু ড্রেইজ ব্যবস্থা না থাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মলমূত্রের দূষিত বর্জ্যের পানি পাশ্ববর্তী জমি ও লোকালয়ে জড়িয়ে পড়ে। বলতে গেলে বর্জ্যের ডিপোতে পরিণত হয়।তিনি আরও বলেন, চলতি বুরো মৌসুমে প্রায় ৫০ একর জমির ধান দূষিত পানিতে মাটেই নষ্ট হয়ে হয়ে গেছে। জরুরি ড্রেনেজ ব্যবস্হা নিশ্চিত সহ ক্ষতিগ্রস্থ স্হানীয় কৃষকদেরকে আর্থিকভাবে প্রণোদনা দেয়ার জন্য আইএনজিও এবং এনজিওদের নিকট দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব জানান, ক্যাম্পের বর্জ্যে চাষাবাদের জমি চাষের অযোগ্য হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। লিখিত আবেদন পেলে পরবর্তী বর্জ্য অপসারণে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved