
চট্টগ্রাম টেস্টে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা গুটিয়ে যেতে পারতো ৫০ রানের আশেপাশেই। নবম উইকেটে মমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামের ১০৩ রানের জুটিতে ১৫০ পার করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
৪১৬ রান পিছনে থাকতেই অলআউট হওয়ার কারণে বাংলাদেশকে ফলোঅনের সুযোগ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবারও স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে প্রোটিয়ারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিনই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে মাত্র ৩৮ রান করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। আজ তৃতীয় দিনের শুরুটাও ভালো হলো না বাংলাদেশের। ১১ বলের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অর্থাৎ ৪৮ রানে ৮ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
পতন শুরু হয় নাজুমল হোসেন শান্তকে দিয়ে। এদিন দলীয় সংগ্রহ ১০ রান যোগ হওয়ার আগেই আউট হন তিনি। দিনের চতুর্থ ওভারের কাসিগো রাবাদার পঞ্চম বলে বিহাইন্ড দ্যা উইকেটে ক্যাচ হন শান্ত। উইকেটরক্ষক কাউল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৭ বলে ৯ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের ওভারেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। ২ বলে ০ রানে ডেন পিটারসনের বলে টনি ডি জর্জির হাতে ক্যাচ হন তিনি।
ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে নতুন ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজকে (৩ বলে ১) তুলে নেন রাবাদা। ওভারের প্রথম বলেই উইকেটরক্ষক ভেরেইনের হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটার। তৃতীয় বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাবাদা।
অভিষেক ম্যাচে ২ বলে ০ রানে আউট হন অঙ্কন। ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর নবম উইকেটে ১০৩ রানের জুটি করেন মমিনুল ও তাইজুল।
মমিনুলকে অবশ্য ফিরতে হয় সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ১১২ বলে ৮২ রান করে সেনুরান মুথুসামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাইজুল ইসলাম। ৯৫ বলে ৩০ রান করে কেশব মহারাজের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান তিনি। তাইজুলের আউটে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সম্পাদক: মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রকাশক: মোঃ শাহজাদা হোসাইন, নির্বাহী সম্পাদক : এম শহিদুল ইসলাম নয়ন
অফিস: ১৪/১৬ কাজলারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২৩৬
@ Economicnews24 2025 | All Rights Reserved