প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পর্রামশেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ফলে দ্বিধার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ (২৫ ডিসেম্বর) সকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, চীনে বিএফ ৫ এর নতুন ধরন বিএফ ৭ ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এই ধরন ওমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী। কম সময়ে এই ধরন বেশি মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। যারা টিকা নেননি তাদের দ্রুত টিকা নিতে হবে। এই ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ডা. কবীর আরও বলেন, সরকার ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজ টিকা দেয়া শুরু করেছে। বিশেষ করে সম্মুখসারীর ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, ষাটোর্ধ্ব নাগরিক, দীর্ঘ মেয়াদী রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে টিকার চতুর্থ ডোজ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশের সকল বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের বিচ্ছিন্নকরন বা আইসোলেশনে নেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের নমুনার জেনোমিক সিকোয়েন্সিং করে এফবি ৭ করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা তার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণ সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পর্রামশক কমিটি সভার সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে আহমেদুল কবির জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে যে অনিহা দেখা দিয়েছে তার বিষয়ে সচেতনতা ও পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply