বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, মাস্টারকার্ড ও প্রিয়শপ এর যৌথ উদ্যোগে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য কো-ব্র্যান্ডেড টাইটেনিয়াম ক্রেডিট কার্ড চালু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান: মির্জা ফখরুল আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ফরেন রেমিট্যান্স হাউসগুলোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দেশে প্রথমবারের মতো আর্মরশেল প্রটেকশনের ফোন নোট ৬০ এনেছে রিয়েলমি শেখ হাসিনাসহ সহযোগীদের বিচার দাবি ফারুক হাসানের বীরগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সিলেটের গোয়াইনঘাট রাতারগুল হারাচ্ছে পর্যটন আকর্ষণ, কমছে পর্যটক আইএফএ ২০২৪ প্রদর্শনীতে অনারের চমক সচিবদের চাকরির তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ

পাঁচ মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি এক লাখ সাত হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪০০ Time View

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক এক হাজার ২৫৩ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ সাত হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় রেকর্ড পরিমাণ আমদানি বেড়েছে দেশে। কিন্তু যে হারে আমদানি বেড়েছে সেই অনুযায়ী রফতানি ও রেমিট্যান্স আয় বাড়েনি। যার কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি ব্যাপক হারে বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) ওপর করা হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৩ হাজার ১৬৬ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের এ পাঁচ মাসে আমদানি হয়েছিল ২ হাজার ২৪ কোটি ডলারের পণ্য।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ইপিজেডসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করে এক হাজার ৮৬৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক এক হাজার ২৫৩ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ সাত হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫৯ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ, দ্বিগুণেরও বেশি। গত অর্থবছরে একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৫০৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সেবা খাতের ঘাটতি ১৪০ কোটি ১০ লাখ ডলার। বিমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাণ করা হয়। করোনাকালীন সময়ে মানুষ ভ্রমণ কম করেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ তেমন বাড়েনি। অর্থবছরের পাঁচ মাসে ১৫১ কোটি ১০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছে বাংলাদেশ। তার আগের অর্থবছরে যা ছিল ১৪৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশি বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকে নিট এফডিআই বলা হয়। আলোচিত সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে মাত্র ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৬৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।

করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) টান পড়েছে। চলতি হিসাবে ঘাটতি অর্থ হলো সরকারকে ঋণ নিয়ে চলতি লেনদেনের দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে।

কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে ঘাটতি (ঋণাত্মক) দেখা দিয়েছে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৬১৮কোটি ডলার ঘাটতি রয়েছে।

দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট) ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (নিট) যা এসেছিল তার চেয়ে ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার চলে গেছে। তার আগের অর্থবছর শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বেশি অর্থাৎ ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার নেগেটিভ (ঋণাত্মক) ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS